অসহায় পিতামাতার পাশে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার তানভির আরাফাত (পিপিএম )।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ওয়াহিদুজ্জামান অর্ক
করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা প্রসংশনীয়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকার প্রসংশা করেছেন। কুষ্টিয়াতেও করোনা মোকাবেলায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। যা প্রসংশা পাওয়ার যোগ্য। কুষ্টিয়ার পুলিশ শুধু করোনা পরিস্থিতি নয়, সকল পরিস্থিতিতেই অসহায়দের পাশে থেকে মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় অসহায় পিতা-মাতার পাশে দাড়িয়ে সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম(বার)। কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর ছাতিয়ান উত্তর পাড়ার মানষিক প্রতিবন্ধী ‘শান্ত’র পিতা-মাতা যখন তার সন্তানকে নিয়ে অসহায়, তখনই তাদের পাশে দাড়ালেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার। করলেন চিকিৎসার ব্যবস্থা। পুলিশের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তার এই মহতী উদ্যোগ সর্বোচ্চ প্রশংসনীয়।
জানা যায়, ‘শান্ত’র হাঁটাচলা স্বাভাবিক হলেও সে মানষিক প্রতিবন্ধী। জন্মের তিন বছর বয়স হতেই সুযোগ পেলেই ময়লা আবর্জনা, গোবর, সাবান, মলমূত্র, জামের বীজ ইত্যাদি খেতে থাকে এবং সকলের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করে। ‘শান্ত’র এধরণের অস্বাভাবিক আচারণে অতিষ্ট এলাকাবাসী। এমনকি ‘শান্ত’ তার তিন মাস বয়সের আপন ছোট ভাইকে মেরে ফেলতে উদ্যত হয়। শান্তর এই দুরবস্থা ও কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তার উন্নত চিকিৎসার ব্যায় বহন করতে অক্ষম গরীব অসহায় দিনমুজুর পিতা জসিম উদ্দিন তাদের আদরের সন্তান ‘শান্ত’কে মেরে ফেলার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিকট আবেদন করেন।অনলাইন পোর্টাল আপডেট কুষ্টিয়া সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত ঘটনাটি কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, পিপিএম (বার) এর দৃষ্টিগোচর হলে গত০৪/০৫/২০২০ খ্রিঃ তারিখ ‘শান্ত’কে সুচিকিৎসার জন্য পাবনা মানষিক হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে ‘শান্ত’ পাবনা মানষিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের এই মানবিকতাকে সাধুবাদ জানিয়েছে কুষ্টিয়াবাসী ।